বিদ্যালয়টি কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার পৌরসভার ১০ নং ওয়ার্ডের চন্ডিবের গ্রামেরদিক্ষিণ পাড়ায় ইহা অবস্থিত । ইহার দুইটি ভবন আছে । একটি দুতলা ভবন অন্যটি একতলা । দুতলা ভবনে শ্রেণীকক্ষের সংখ্যা ৫ টি ,একটি অফিস কক্ষ , একটি স্টাফ কক্ষ, ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ২ টি টয়লেট, ২ টি প্রস্রাবখানা এবং শিক্ষকদের জন্য ১ টি টয়লেট । একতলা ভবনে শ্রেণী কক্ষের সংখ্যা ৩ টি, একটি সিড়ি কক্ষ এবং সাথে দুটি টয়লেট । টিউবওয়েল আছে ২ টি । একটি ব্যবহারযোগ্য । শিক্ষক সংখ্যা ১০ জন । বিদ্যালয়ের সামনে একটি বড় মাঠ, মাঠের চার পাশে দেওয়ালের প্রাচীর । সামনে পিছনে ২ টি করে মোট ৪ টি গেইট আছে । মাঠের প্রাচীরের পার্শ্বে পৌর সভার মেইন রোড । মাঠের চারপাশে মেহগনি গাছ । উল্লেখ্য যে, বিদ্যালয়ের সামনে মাঠ টি ঈদগাহের মাঠ হিসেবে ব্যবহার করা হয় ।
ভৈরব উপজেলার বিশিষ্ট্য ব্যবসায়ী শিক্ষানুরাগী, সমাজসেবক, ভৈরবের ঐতিহ্যবাহী হাজী আসমত কলেজ, চন্ডিবের দ:পাড়ায় অবস্থিত হাজী আসমত আলী হাফিজিয়া মাদ্রাসা, হাজী আসমত আলী ফোরকানিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা জনাব হাজী আসমত আলী সাহেব এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা। তার নামানুসারেই নামরাখা হয় হাজী আসমত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। উল্লেখ্য যে,চন্ডিবের গ্রাম একটি বিশাল পশ্চাৎপদ জনপদ । অশিক্ষা, কুশিক্ষা, দারিদ্রতা, অসচেতনতা মিলিয়ে ছিল এই জনপদ।ব্রিটিশ সরকারের আমলে পিছিয়ে পড়া এই জনপদের দিকে কোন সরকারি উদ্যোগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তথা উন্নয়নমূলক কোন কাজে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয নাই । সেই মুহুর্তে এই মহৎ মানবের আগমন ঘটে । তিনি এই জন পদকে নিয়ে ভাবলেন কি করে এই এলাকায় শিক্ষার মান তথা উন্নয়নের প্রসার ঘটানো যায় । তারই প্রেক্ষিতে দারিদ্রতা দূরিকরণ, জনসচেতনতা অথর্নৈতিক উন্নয়ন ঘটাতে হলে শিক্ষার বিকল্প নেই । তার সুদুরপ্রসারী চিন্তর বাস্তব প্রতিফলন ঘটানোর জন্য তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ার লক্ষ্যে মনোযোগি হন। তারই ফলশ্রুতিতে ১৯৩০ সনে হাজী আসমত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন । প্রথম অবস্থায় বিদ্যালয়টি টিনের চালা এবং বাঁশের বেড়া ছিল । পরবতীর্তে এটি ভৈরব পৌরসভার নিয়ন্ত্রণে চলে ।১৯৭৩ সালে এটি সরকারি হয় । এবং পাকা ভবনে রুপান্তরিত হয় । আজ পিছনের দিকে তাকালে দেখা যায় এই বিদ্যালয় থেকে পাড়াশুনা করে অনেক জ্ঞানী-গুনী, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, প্রকৌশলী ও মহৎ লোকের সৃষ্টি হয় । যারা শুধু চন্ডিবের গ্রামকে নিয়ে নয় ,দেশ ও জাতি গঠনে সেই পিছিয়ে পড়া সমাজকে টেনে বতর্মান আবস্থানে নিয়ে এসেছে । এই চন্ডিবের ভৈরব উপজেলার মধ্যে একটি সুন্দর গ্রামে পরিণত হয়েছে । সেই মহতী মানুষটি ৪ঠা ভাদ্র, ১৩৭৪ বাংলা, ২১ আগষ্ট,১৯৬৭ খ্রি: সকলকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে ইহলোক ত্যাগ করে তারই প্রতিষ্ঠিত হাজী আসমত আলী হাফিজিয়া মাদ্রাসা মসজিদের পাশে শায়িত অছেন । তিনি মৃত্যুকালীন সময়ে অনেক সুনামধন্য উত্তরসূরী রেখে গেছেন ।তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, বিশিষ্ট রাজনীতিবেদ সবার পরিচিত জনাব ইফতেখার হোসেন বেনু । প্রতিষ্ঠানের সকল ছাত্র- ছাত্রী, শিক্ষক, পরিচালনা পরিষদ, অভিভাবক মন্ডলী, সম্মানীত এলাকাবাসী মহতী মানুষটির প্রতি চির কৃতজ্ঞ এবং তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।
পরিচালনা কমিটি ১৪-৩-১০ খ্রি: গঠিত হয় । ১২ জন সদস্য তার মধ্যে ৮ জন পুরুষ ও ৪ জন মহিলা । বর্তমান বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির প্রত্যেকেই সহযোগীতার মনোভাব আছে । সভাপতি মহোদয় জনাব আরেফীন জালাল রাজীব বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা বংশধর । বিদ্যালয়ের ছোটোখাটো সমস্যা, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, ও পুরস্কার বিতরণী এর যাবতীয় খরচ কমিটির সহযোগীতায় হয়ে থাকে ।
সন ৫ম শ্রেণিতে অংশগ্রহণ পাশের পাশের
মোট ছাত্র সংখ্যা সংখ্যা হার
২০০৭- ৮৩ ৭৩ ৭২ ৯৯%
২০০৮- ১০৯ ১০৬ ১০৪ ৯৮%
২০০৯- ১১৮ ১১২ ৮৩ ৭৪.১০%
২০১০- ১১৭ ১০১ ৯২ ৯১%
২০১১- ১১৮ ১১৩ ১০৮ ৯৬%
সাল -ডি আরভূক্ত –অংশগ্রহণ- পাশের- পাশের - ট্যালেন্টপুল- সাধারণ - মোট
সংখ্যা সংখ্যা হার
২০০৭ ২৫ ২১ ২১ ১০০% - ৪ ৪
২০০৮- ৪৪ ৩৬ ২৯ ৮১% ১ ৪ ৫
২০০৯- ১১৮ ১১২ ৮৩ ৭৪.১০ - ৪ ৪
২০১০- ১১৭ ১০১ ৯২ ৯১% - ১ ১
২০১১- ১১৮ ১১৩ ১০৮ ৯৬% - ২ ২
২০১১ সনে উপজেলা পযার্য়ে শ্রেষ্ঠ সভাপতি, ২০১০ সনে বঙ্গবন্ধু ফুটবল টুণার্মেন্টে রানাস আপ, স্কুল ইউনিফরম, শিক্ষার গুনগত মানসহ সহশিক্ষা ক্রমিক কাযর্ক্রম, মৌসুমী প্রতিযোগীতায় অংশগ্রাহণ, বিদ্যালয় পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে উন্নয়ন।
ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, প্যারা শিক্ষক নিয়োগ, শিক্ষার গুনগত মান উন্নয়ন, সহ বিদ্যালয়ের সকল ছাত্র-ছাত্রীদেরকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ১০০% এ + পাবার যোগ্য হিসাবে গড়ে তোলা,এবং বিদ্যালয়টিকে ৮ম শ্রেণী পযর্ন্ত উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে ।
০১৭১১- ৩৮৩৭৪১।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস