Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

এক নজরে ভৈবর পৌরসভা

পৌরসভার নাম ঃ

 

ভৈরব পৌরসভা

স্থাপিতঃ

 

১৯৫৮ খ্রিঃ

আয়তন   t

  ১৩.০৭  বর্গ কিমি ।

শ্রেণীঃ

 

ওয়ার্ড সংখ্যা

 ১২

উপজেলাঃ

 

ভৈরব

জনসংখ্যাঃ

 ১১৮৩০০ জন ।

জেলাঃ

 

কিশোরগঞ্জ

 

 

বিভাগঃ

 

ঢাকা

 

 

 

 

পৌরসভার সাথে যোগাযোগের মাধ্যম

 

ঠিকানাঃ

 

 ভৈরব পৌরসভা, ভৈরব, কিশোরগঞ্জ ।

টেলিফোন নম্বরঃ

 

০৯৪২৪-৭১৪৮৩,৭২৪০০

ফ্যাক্স নম্বরঃ

 

০৯৪২৪-৭১৬২৩

মোবাইল নম্বরঃ

 

       ০১৭১১-৩৩১৪৬৩

ই-মেইল নম্বরঃ

 

 mayor_bp@yahoo.com        

ওয়েব সাইট ঠিকানা (যদি থাকে)

 

 

 

 

  • পৌরসভার সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
  •  

অবস্থান ও সীমানাঃ১২০২৯ টি পরিবার সম্বলিত ১১৮৩০০ জনসংখ্যা অধ্যুষিত ভৈরব একটি উপজেলা সদর ও প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা । প্রাচীন এই পৌরসভাটি রাজধানী ঢাকা থেকে সড়ক পথে ৮৪ কিঃ মিঃ উত্তর পূর্বে অবস্থিত । ভৈরব ১৯৫৮ সালে পৌরসভা হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করে । ১৩.০৭ বর্গ কিঃ মিঃ বিস্তৃত মেঘনা নদীর উত্তর তীরে মেঘনা ও পুরাতন ব্রক্ষ্মপুত্র নদীর সঙ্গমস্থলে ভৈরব পৌরসভার অবস্থান । এটি দেশের প্রাচীন দ্বিতীয় নৌ-বন্দরও । পৌর এই শহরটির সাথে দেশের সব অঞ্চলের নৌ-সড়ক ও রেলপথে উত্তম যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে । বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি সড়ক ও রেলপথ এই শহরের উপর দিয়ে গিয়েছে । এর মধ্যে অন্যতম হলো ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক, ঢাকা-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ সড়ক, ঢাকা-চট্রগ্রাম, ঢাকা-সিলেট এবং ঢাকা-ভৈরব-কিশোরগঞ্জ রেলপথ । এছাড়াও দেশের দুইটি বৃহত্তম সড়ক সেতু ও রেলসেতু  এই পৌরসভায় অবস্থিত ।

 

লোকসংখ্যাঃ১২ টি ওয়ার্ডে বিভক্ত ভৈরব পৌরসভার মোট লোকসংখ্যা প্রায় ১১৮৩০০ জন । এদের মধ্যে পুরুষ ৬২২২০ জন এবং নারী ৫৬০৮০ জন । ২০০১ সালে আদম শুমারী অনুযায়ী ভৈরব পৌরসভার লোকসংখ্যা ছিল ৯১২৮০ জন । পুরুষ ৪৬৯৬২ জন, নারী ৪৪৩১৮ জন । বর্তমানে ভৈরব পৌরসভার প্রতি বর্গকিলোমিটারে বাস করে ৯০৫১ জন । ২০০৪ সালে ঘনবসতির হার ছিল ৭৬৬৫ জন । ভৈরব পৌরসভার জনসংখ্যা বৃদ্ধির বর্তমান হার ২.০২ শতাংশ । বর্তমানে পৌর এলাকার ভোটারের সংখ্যা ৫৯১৪২জন এর মধ্যে পুরুষ ২৯০৬০ জন নারী ৩০০৮২ জন । হোল্ডিং সংখ্যা ১২০২৯ ।

 

ভৌত অবকাঠামো, রাস্তা ও অন্যান্যঃ একবিংশ শতাব্দীর শহরাঞ্চলের অবকাঠামো ও ভৌত সেবার চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে দ্রুত গতিতে । ভৈরব পৌরসভার ভৌত অবকাঠামো ও রাস্তা স্বয়ংসম্পূর্ণ না হলেও এ পর্যায়ে বর্তমানে যে অবকাঠামো রয়েছে তা হলো সড়ক মোট ৪৮.৪৫ কিঃ মিঃ [১১.১০ কিঃ মিঃ পীচ ঢালা (কার্পেটিং), ৬.১০ কিঃ মিঃ এইচবিবি এবং বাকী ১৯.৩৫ কিঃ মিঃ ঢালাই রাস্তা (সিসি)] ড্রেন মোট- ১৭.০৯ কিঃ মিঃ (২.৭৪ কিঃ মিঃ আরসিসি এবং ১৪.৩৫ কিঃ tঃ ইটের গাথুনি) । ভৈরব পৌরসভার মালিকাধীন বাজার রয়েছে ২টি, বাসটার্মিনাল ১টি, লঞ্চঘাট ১টি, যানবাহনের মধ্যে জীপ ১টি, আবর্জনা বহনকারী ট্রাক ৩টি, মটর সাইকেল ২টি, পৌর এলাকার মাত্র ১৫% জনগণের জন্য রয়েছে পানি সরবরাহ ব্যবস্থা, এছাড়াও ভৈরব পৌর এলাকায় যেসব অবকাঠামো রয়েছে তা হলো উপজেলা কমপে­ক্স ১টি, ভূমি অফিস ১টি, সাব রেজিষ্টার অফিস ১টি, থানা ৩টি, টাউন ফাঁড়ি (পুলিশ) ১টি, রেলওয়ে জংশন ১টি, বাসষ্ট্যান্ড ৩টি, খেয়াঘাট ৩টি, ফায়ার ষ্টেশন ২টি, পোষ্ট অফিস ৩টি, ডাকবাংলো ৩ টি, ষ্টেডিয়াম ১টি, অডিটরিয়াম ২টি, সিনেমা হল ২টি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৩৫টি, মসজিদ ৭৮টি, মন্দির ৫টি, গোরস্থান ৯টি, শ্মশান ২টি, ঈদগাহ ৭টি, এতিমখানা ২টি, প্রেসক্লাব ১টি, পাঠাগার ৪টি, হাসপাতাল ১টি, পশুহাসপাতাল ১টি, ক্লিনিক ৪টি, মাতৃসদন ১টি, স্বাস্থ্য উপকেন্দ্র ১টি, পাবলিক টয়লেট ৫টি, পৌর নিউমার্কেট ১টি, কাঁচা বাজার ১টি, মাছের পাইকারী বাজার ১টি, গোহাটা ১টি, পাকা সেতু ১১টি, কালভার্ট ২৪টি, চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ ১টি, বাণিজ্যিক ব্যাংক ২১টি, জুটমিল ১টি, কোল্ড ষ্টোরেজ ২টি, ষ্টিল এন্ড গ্যালভানাইজিং প­ান্ট ১টি, লৌহ দূরীকরণ প­ান্ট ১টি, দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকরণ প­ান্ট ১টি, সিলিকেট ফ্যাক্টরী ২টি, ওভার হেড ট্যাংক ১টি, জ্বালানী তেল ডিপো ৩টি, টেলিফোন এক্সচেঞ্জ ২টি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ উপকেন্দ্র রয়েছে ১টি ।

 

ভৈরব পৌরসভার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাঃ ভৈরব পৌরসভা তার সময়োপযোগী উন্নয়ন চাহিদা ও জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রবনতার কথা বিবেচনা করে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নির্ধারণ করেছে- শহরের বাকী সড়ক ও ড্রেনগুলোর উন্নয়ন সাধন, মাস্টার   প্ল­্যান অনুযায়ী পানি নিস্কাসন ব্যবস্থা, একটি ট্রাক টার্মিনাল, একটি কাঁচা বাজার, একটি কসাইখানা, পৌর এলাকার বস্তি ও স্যানিটেশন উন্নয়ন ও একটি সুপার মার্কেট নির্মাণ । এছাড়াও একটি ল্যান্ডফিল্ড সাইট নির্মাণসহ সড়ক বাতি স্থাপনেরও পরিকল্পনা রয়েছে । অধিকন্তু পৌরসভা শহরের যানবাহন সুচারুরূপে চলাচলের সুবিধার্থে একটি কার্যকরী বাইপাস সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনাও  রয়েছে, যা অত্যন্ত আধুনিক ও দূরদর্শী পদক্ষেপ । ভৈরববাসী মনে করে ভৈরব পৌরসভার উপরোক্ত পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে ভৈরব হবে একটি আধুনিক  যুগোপযোগী শহর ।