Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

Title
সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু এবং রাজা ৬ষ্ঠ জর্জ রেল সেতু (মেঘনা রেলসেতু) এবং নীচের মধ্যবর্তী স্থান
Location
ভৈরব উপজেলার মেঘনা নদীর তীর সংলগ্ন
Transportation
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভৈরব দূর্জয় মোড় থেকে রিক্সাযোগে সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং রাজা ৬ষ্ঠ জর্জ রেল সেতু (মেঘনা রেলসেতু) এবং নীচের মধ্যবর্তী স্থানে যাওয়া যায়।
Details

দর্শনীয় স্থান
 

         ঢাকা-চট্রগ্রাম রেলপথে মেঘনা নদীর উপর নির্মিত ঐতিহ্যবাহী  ‘‘ভৈরব রেল সেতু’’ এবং ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ‘‘বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য মৈত্রী সেতু’’ এর মধ্যবর্তি স্থানে মেঘনার তীরে পর্যটন কেন্দ্র স্থাপন উপযোগী পরিবেশ বিদ্যমান রয়েছে। মেঘনার বুকে দাঁড়িয়ে থাকা জোড়া সেতুর চারপাশের নৈসর্গিক দৃশ্য, কৃষ্ণজলের তরঙ্গরাজি, সারিবদ্ধ মালবাহী কার্গো, বিরামহীন যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক নৌযান, নীল আকাশে ভেসে বেড়ানো বিভিন্ন প্রজাতির পাখির দৃশ্য দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করছে। সবুজ বৃক্ষরাজি এবং নদীর ঢালে বিছানো পাথর সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে অনেকাংশে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যমন্ডিত প্রবাহমান মুক্ত বাতাসের এ এলাকাটি ভৈরবসহ আশে পাশের লোকজনকে দিন দিন আকৃষ্ট করছে। অঘোষিত এক দর্শনীয় স্থান হয়ে দাঁড়িছে এলাকাটি। এ স্থানের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করার জন্য প্রতিদিন সকাল, বিকাল ও সন্ধ্যায় সব বয়সের নারী-পুরুষ, যুবক-যুবতী, শিশুদের কোলাহলে এলাকটি মুখরিত থাকে।  কর্মজীবি মানুষ ক্লান্তি দূর করতে স্থানটি বেছে নিয়েছেন। পরিবার পরিজন, বন্ধু-বান্ধব, স্কুল কলেজের   শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা দল বেঁধে এখানে আসেন।। নদীর তীরে, গাছের নীচে, বিছানো পাথড়ে বসে আড্ডায় মেতে উঠেন অনেকে। প্রতিদিন মিলন মেলায় পরিণত হয় এলাকাটি। পশ্চিম প্রান্তে সমৃদ্ধ বন্দর নগরী ভৈরব, পূর্ব প্রান্তে আশুগঞ্জে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, জিয়া সার কারখানা। দিনের শেষে রাত নেমে আসার সাথে সাথে ভৈরব এবং আশগঞ্জ বন্দরের বৈদ্যুতিক বাতি এলাকাটি ভিন্ন সৌন্দর্য বর্ধন করছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের ৩.৯০ একর ভূমি পর্যটন কেন্দ্র স্থাপনের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। উক্ত স্থানে পর্যটন কেন্দ্র স্থাপিত হলে রাস্তার পাশে এবং নদীর তীরে বনায়ন, শিশু পার্ক, পিকনিক স্পট, সুইমিং পুল, হোটেল-মোটেল, রেস্ট হাউজ, কনফারেন্স রুম নির্মাণ, যাদুঘর স্থাপন, স্পীডবোটে নৌভ্রমণ এর ব্যবস্থা পর্যটন কেন্দ্রে অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ রয়েছে।