Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

হাজী আসমত কলেজ

  • সংক্ষিপ্ত বর্ণনা
  • প্রতিষ্ঠাকাল
  • ইতিহাস
  • প্রধান শিক্ষক/ অধ্যক্ষ
  • অন্যান্য শিক্ষকদের তালিকা
  • ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা (শ্রেণীভিত্তিক)
  • পাশের হার
  • বর্তমান পরিচালনা কমিটির তথ্য
  • বিগত ৫ বছরের সমাপনী/পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল
  • শিক্ষাবৃত্ত তথ্যসমুহ
  • অর্জন
  • ভবিষৎ পরিকল্পনা
  • ফটোগ্যালারী
  • যোগাযোগ
  • মেধাবী ছাত্রবৃন্দ

সংক্ষিপ্ত বর্ণনা

১৯৪৭ সালের ভৈরবের দানবীর মরহুম হাজী আসমত আলী বেপারী এবং শিÿানুরাগী ব্যক্তিবর্গের ঐকামিত্মক প্রচেষ্টায় ভৈরবের কেন্দ্রস্থলে ভৈরব কে.বি.হাই স্কুলের উপর প্রতিষ্ঠিত হয়। অবিভক্ত বাংলার তদানীমত্মন প্রধান মন্ত্রী জনাব হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর উপস্থিতিতে এ কলেজের বৃত্তি প্রস্থর স্থাপন করেন তদানীমত্মন শিÿা মন্ত্রী সৈয়দ মোয়াজ্জেম উদ্দিন হোসাইন। সরম্ন বারান্দা ও অপরিসর শ্রেণীকÿ নিয়ে কলেজটি প্রথমাবস্থায় বেশ ক’টি বছর কোন মতে অসিত্মত্ব রÿা করে আসছিল। তারপর ১৯৬৮ সালের দিকে এ,বি,এম, আবদুল লতিফ সাহেব অধ্যÿ হিসেবে যোগদান করে কলেজ সম্প্রসারণের সাহসী উদ্যোগ গ্রহণ করেন। পশ্চিম দিক দিয়ে সিঁড়ি নামানো, ছাত্রাবাসের পশ্চিমের গর্তে মাটি ভরাট করা ও সেখানে দেয়াল ঘেরা দীর্ঘ একটি ঘর তোলা এবং সর্বোপরি বিজ্ঞান ভবনকে দোতলায় রূপামত্মরিত করা, নতুন অবস্থানে ৪২ বিঘা জমি খরিদ করা, অধ্যÿ সাহেবের অসামান্য কর্মকান্ডের অংশ বিশেষ মাত্র। পড়াশোনা ছাড়াও সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চায় এ সময় কলেজটি ছিল অত্যমত্ম জমজমাট। এরই মধ্যে শুরম্ন হয় আমাদের স্বাধীনতার জন্য গৌরবমন্ডিত মুক্তিযুদ্ধ। নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধে হাজী আসমত কলেজের সব সম্পদ, ঐতিহ্য-ইতিহাস সব কিছু ধ্বংস প্রাপ্ত হয়। পাক হানাদার বাহিনী মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে কলেজে এসে ঘাঁটি গাড়ে এবং কলেজের বেঞ্চ, চেয়ার, টেবিল এমনকি হাজার হাজার বই পুড়িয়ে হানাদাররা রান্নার কাজ করে। অফিসের মূল্যবান রেকর্ড পত্র, পুরনো ফাইল সব তছনছ করে কলেজের ভবিষ্যৎ অসিত্মত্ব একেবারেই বিপন্ন করে দেয়। স্বাধীনতার পর কলেজটি নিদারম্নণ সংকটের মুখে পতিত হয়। বহু দুঃখ- কষ্ট, অনেক ত্যাগ-তিতিÿা ও সাধনার বিনিময়ে কলেজটি আবারো সকল বিপত্তি অতিক্রম করতে সমর্থ হয়। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ কলেজ বিভিন্ন জেলার প্রত্যমত্ম অঞ্চল হতে আগত শিÿার্থীদের মধ্যে জ্ঞানের আলো বিতরণ করে আসছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বোর্ড ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত উচ্চ মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক বিএম, ডিগ্রি (পাস) ও অনার্স পরীÿায় এ কলেজ বহুবার মেধা তালিকায় স্থান লাভ করেছে। পরীÿা সমূহে সমেত্মাষজনক ফলাফল অর্জনে, উন্নত শিÿারমান ও সুষ্ঠু শিÿার পরিবেশ সংরÿণে এবং নকলমুক্ত পরীÿা পরিচালনায় এ কলেজের সুনাম সর্বজনবিদিত। রাজনৈতিক কারণ বা সন্ত্রাসের দরম্নন কোনদিন এ কলেজ বন্ধ হয়নি। ১৯৯৪ সালের ১৪ জুলাই ভৈরব বাজারের কোলাহলপূর্ণ অবস্থান হতে ভৈরব- কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের পূর্বপার্শ্বে বিসত্মৃত পরিসরে মনোরম পরিবেশে কলেজটি স্থানামত্মরিত হয়। বর্তমানে এ কলেজ বাংলাদেশের একটি সুপ্রাচীন ঐতিহ্যবাহী পূর্ণাঙ্গ ডিগ্রি কলেজ। কলেজটিতে উচ্চ মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক বিএম, ডিগ্রি (পাস) সহ সাতটি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু রয়েছে। পড়াশোনা ছাড়াও সাহিত্য- সংস্কৃতি চর্চায় কলেজটি পিছিয়ে নেয়। খেলাধুলায় কলেজটি বহুবার পুরস্কার লাভ করেছে। বি,এন,সি,সি ও রোভার স্কাউটের দÿ বাহিনী এ কলেজে গড়ে তোলা হয়েছে। কলেজটি বর্তমান অবস্থানে স্থানামত্মরের পরে ভৈরবের কৃতিসমত্মান সাবেক সফল স্থানীয় সরকারে পলস্নীউন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী আজকের মহামান্য রাষ্ট্রপতির আমত্মরিক প্রচেষ্টায় কলেজের সীমানা প্রাচীর ২টি প্রবেশপথে ২টি শৈলীর ফটক নির্মাণ করা হয়। তা ছাড়া শিল্পী আবদুস সাদেকের পরিকল্পনা অনুযায়ী কলেজ ক্যাম্পাসে আধুনিক শৈলীর দৃষ্টি নন্দন একটি শহীদ মিনার নিমার্ণ করা হয়। কলেজের বর্তমান সভাপতি আলহাজ্ব নাজমুল হাসান পাপন এমপি মহোদয়ের সার্বিক তত্তাবধানে কলেজের প্রশাসনিক ভবনে ২য় তলা নতুন ভবন নিমার্ণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তাছাড়া কলেজ ক্যাম্পসের একটি আধুনিক মসজিদ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। কলেজ শিÿা সুষ্ঠপরিবেশে সুশিÿাদানের ফলে কলেজ গোটা কিশোরগঞ্জ জেলায় এক অনন্য সাধারণ বিদ্যাপীটে পরিণত হয়েছে তা সর্বজনবিদিত ও স্বীকৃত।