মেঘনা নদী ও পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের মিলনসহলে ভৈরব জনপদ গড়ে উঠে। জীবিকা ও বসতি স্থাপনের জন্য বৃহত্তম ময়মনসিংহ, সিলেট, ত্রিপুরা এবং অন্যান্য প্রতিবেশী এলাকার সাহসী ও উদ্যোগী মানুষ এগিয়ে আসেন নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়তে। এ জনপদ সৃষ্টি লগ্নে ভৈরবে প্রতি সপ্তাহে একদিন হাট বসতো। স্থানীয়ভাবে উৎপন্ন পণ্যসামগ্রী এবং নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির খুচরা ক্রয় বিক্রয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। ভৌগলিক অবস্থানের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ১৯০২ সালে আই,জি,এন এন্ড আর, এস, এন, কোম্পানী নামে একটি ইংরেজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভৈরব বাজারের মেঘনা নদীতে যাত্রী চলাচল এবং পণ্যসামগ্রী আমদানী ও রপ্তানীর সুবিধার্থে দুটি ষ্টীমারঘাট স্থাপন করে। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর ষ্টীমারঘাট ক্রমান্বয়ে বিলুপ্ত হয়ে যায়। সে সময়ে দেশ বিদেশের সঙ্গে ভৈরবের ব্যবসা বাণিজ্য প্রসার লাভ করে এবং বেশ কয়েকটি ইংরেজ ও মাড়োয়ারী যেমন লেন্ডন এন্ড ক্লার্ক, ডাকার্স কোং, তুলারাম বসরাজ, মুন্ডিওরা এন্ড কোং ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান পাটজাত দ্রব্যের ব্যবসা করতে ভৈরবে অফিস স্থাপন করে। ভৈবর থেকে পাটজাত পণ্য বিভিন্ন দেশে রপ্তানী করা হতো। পারস্য, ইউরোপ ও সাবেক বৃটিশ ভারতের বিহার, মাদ্রাজ, বোম্বাইসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ব্যবসায়ীগণ বিভিন্ন প্রকার পণ্যসামগ্রী ভৈরব বাজারে আমদানী করতো। কলকাতার সাথে ভৈরব বাজারের ব্যবসায়ীদের নিবিড় সম্পর্ক ছিল। বিদেশের সাথে ভৈরব বাজারের ব্যবসা সংকোচিত হলেও ভৈরব সমৃদ্ধ বাণিজ্যিক বন্দর নগরী হিসেবে পরিচিত। ব্যবসা বাণিজ্যে এখনও ভৈরব অন্যতম। ভৈরবে একটি পাইকারী মৎস্য আড়ৎ রয়েছে। বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় মাছ উক্ত আড়তে পাওয়া যায়। প্রতিদিন পার্শ্ববর্তি জেলা ও উপজেলা থেকে আগত লোকজন তাঁদের পছন্ন মত মাছ ক্রয়ের জন্য ভৈরব ছুটে আসেন
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস