উপজেলা পরিষদকে একটি শক্তিশালী কার্যকর, গণতান্ত্রিক ও জবাবদিহিতামূলক স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক উপজেলা গর্ভন্যান্স প্রজেক্ট গ্রহণ করা হয়। প্রকল্পটির মেয়াদকাল ৫ (পাঁচ বৎসর) (আগষ্ট ২০১১-জুলাই ২০১৬, UNDP, UNCDF, European Union (EU)এবং Switzerland Development Cooperation (SDC)এর আর্থিক সহযোগীতায় প্রকল্পটি বাংলাদেশের ৭টি বিভাগের ৭টি জেলার ১৪টি উপজেলায় (১ম পর্যায়ে ৭টি এবং ২য় পর্যায়ে ৭টি), ঢাকা বিভাগে প্রকল্পের জন্য কিশোরগঞ্জ জেলাকে বেছে নেয়া হয় এবং ভৈরব উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। এ প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে স্থানীয় পর্যায়ে পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং বাসত্মবায়ন। স্থানীয় পর্যায়ে পরিকল্পনা তৈরীর সক্ষমতা বৃদ্ধির লÿÿ্য প্রকল্পের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় পরিকল্পনা একাডেমীর মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। উক্ত চুক্তির আওতায় ভৈরব উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ অন্যান্য অফিসারদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে এ বিষয়ে আরও মতবিনিময় সভা আয়োজন করা হয় এবং একটি পরিকল্পনাসহ বই তৈরীর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এ পরিকল্পনা বই তৈরীর অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে স্থানীয় সম্পদের সুষ্ঠ ব্যবহারের মাধ্যমে স্থানীয় সমস্যার সমাধান এবং একটি গণতান্ত্রিক কার্যকর শক্তিশালী পরিষদ গঠন। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প-২০২১ এবং সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ বিষেশভাবে বিবেচনায় এনে স্থানীয় জনগনের চাহিদার প্রতি দৃষ্টি রেখে ভৈরব উপজেলার বার্ষিক ও পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়নে প্রয়াস নেয়া হয়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস