১৭৬৪ থেকে ১৭৭৩ সালের মধ্যে অংকিত ও ১৭৮১ সালে প্রকাশিত জেমস জে. রেনেলের অবিভক্ত বাংলার মানচিত্রে ভৈরব নামক ভূখন্ডের অস্তিত্ব পাওয়া যায় না। ব্রহ্মপুত্র নদ সে সময় ১০ থেকে ১২ মাইল প্রশস্ত ছিল, মেঘনা ছিল ব্র্রহ্মপুত্রের উপ-নদী। মেঘনা ও ব্র্রহ্মপুত্রের মিলনস্থলে সৃষ্ট বালির চর বর্তমানে জনপদ ভৈরব । জেগে উঠা চরাঞ্চল ও জলাভূমিতে উলু-খাগড়ার বন জন্মানোর কারণে স্থানটির প্রথম নাম হয় উলুকান্দি। উলুকান্দি তৎকালীন ভাগলপুর দেওয়ানদের জমিদারীর অর্ভূক্ত হলো। নবীনগর উপজেলার বিটঘরের দেওয়ান ভৈরব চন্দ্র রায় ভাগলপুরের জমিদার দেওয়ান সৈয়দ আহমদ রেজা এর কাছ থেকে মৌখিক অনুমতি নিয়ে উলুকান্দি ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় জনবসতি শুরু করেন। জনবসতির পাশাপাশি একটি বাজার গড়ে উঠে । দেওয়ান ভৈরব চন্দ্র রায় তাঁর মা’র নামে বাজারটির নাম দেন কমলগঞ্জ প্রকাশ্যে ভৈরব বাজার। পার্শ্ববর্তি গ্রামগুলোর নাম দেয়া হয় তাঁর ভাই-বোনদের নামানুসারে ভৈরবপুর, কমলপুর, জগন্নাথপুর, শম্ভুপুর, কালীপুর, চ›িডবের ও লক্ষীপুর।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস