ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনার মিলন মোহনায় ভৈরব শহর। শহরের কেন্দ্রস্থল তথা ভৈরবের ঐতিহ্যবাহী রাজ কাচারী সংলগ্ন এবং প্রেসক্লাব সংলগ্ন উত্তর দিকে ফায়ার সার্ভিস অফিস,দক্ষিনে সাবেক ভৈরব থানা (eZ©মানে পুলিশ ফাড়ি) এবং সাব পোষ্ট অফিস রয়েছে, পূর্বে ভৈরব চেম্বার অফ কমার্স অফিস। পশ্চিমে আবাসিক এলাকা, থানা উপস্বাস্থ কেন্দ্র, সোনালী ব্যাংক, পৌর ভবন ও অসংখ্য পাইকারী ও খুচরা ঔষধের দোকান রয়েছে। বিদ্যালয় গৃহটি দুই ভাগে বিভক্ত এবং ইংরেজি ইউ (U) অক্ষরের মত। বিদ্যালয়টিতে 168©দৈঘ্য 17© প্রস্থ জায়গা নিয়ে ৪টি শ্রেণীকক্ষ, ১ টি অফিসকক্ষ রয়েছে। বিদ্যালয়ের সামনে একটি ফুলের বাগান থাকায় মনোরম পরিবেশের মধ্যে শিশুরা পড়াশুনা করে এবং রাজকাচারীর মাঠে খেলাদুলা করে আসছে। শহরে ঠিক মাঝখানে সকল সচেতন মানুষের নজরের মাঝে আর কোন সরকারী বা বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই।
১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর ভৈরব পৌর এলাকার কয়েকজন আনসার কমান্ডার ভৈরব থানা আনসার ক্লাব নামে একটি সংগঠন গড়ে তোলেন। এখানে থানা এলাকার আনসারগণ প্রতি সপ্তাহে ২ দিন মিলিত হয়ে তাদের নিয়মিত কোচ -কাওয়াজ করতেন। ১৯৬৭ সালের মাঝামাঝি সময় আনসার কমান্ডারগণের ১৫/২০ জন ছেলেও আনসারগণের সাথে কোচ-কাওয়াজ শিখতে আসেন এবং নিয়মিত কোচ-কাওয়াজ করতে থাকেন। সাথে সাথে ছেলেরা ক্লাবে বসে একজন শিক্ষকের কাছে পড়াশুনাও করতে থাকেন। তৎকালে ভৈরব বাজারে কোন বিদ্যালয় না থাকায় ভৈরব বাজরের ছেলে মেয়েরা ভৈরবপুর উত্তর পাড়ায় অবস্থিত ভৈরব আদশ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যেতে হত। ভৈরব বাজারের শিশুদের কথা চিন্তা করে কয়েকজন কমান্ডার এই আনসার ক্লাবে একটি পূর্ণাঙ্গ বিদ্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। তাদের এই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে পহেলা জানুয়ারী ১৯৬৮ সালে ভৈরবের এককালের নামকরা এই বিদ্যালয়টি প্রায় ৩০০ ছাত্রছাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করেন। তখনকার যুগে এই বিদ্যালয় সকাল ৭ টা থেকে সন্ধা ৭ টা পর্যন্ত চলত। শিশুদের সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবারসহ শার্ট, প্যান্ট, জুতা, গেঞ্জি খেলাধুলার সকল প্রকার সরঞ্জাম সবকিছু বিদ্যালয় থেকে সরবরাহ করা হত। প্রতিষ্ঠাকালে বিদ্যালয়টির নাম ছিল শিশু আনসার ক্যাডেট স্কুল। ১৯৭৩ সনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার যখন সারা দেশে সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলি একসাথে জাতীয়করন করেন। তখন আজকের মহামান্য রাষ্ট্রপতি তৎকালে ভৈরব-কুলিয়ারচর এলাকার জাতীয় সংসদ সদস্য জনাব আলহাজ্জ্ব মোঃ জিল্লুর রহমান সাহেব এই বিদ্যালয়টিকেও জাতীয় করনের আওতায় আনতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তখন সরকারী বেতন স্কেল কম থাকায় কর্মরত শিক্ষকবৃন্দ জাতীয়করন করতে রাজী না হওয়ায় বিদ্যালয়টি বেসরকারীই থেকে যায়। পরবর্তী কালে ১৯৮৮ সালে আনসারের মহাপরিচালক বিদ্যালয়টি পরিদর্শনে আসলে তখনকার উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভার চেয়ারম্যান সহ ভৈরব এর কয়েকশ গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের উপস্থিতিতে বিদ্যালয়টির নাম পরিবর্তন করে আনসার ভি,ডি,পি প্রাথমিক বিদ্যালয়” রাখা হয়। পরে ২৪/০১/১৯৯০ সালে রেজিষ্ট্রেশন প্রাপ্তির পর বিদ্যালয়টির নাম হয় আনসার ভি,ডি,পি রেজি: বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়”। এবং এই নামেই বিদ্যালয়টি বর্তমানে চালু আছে।
২০১০ সালের জানুয়ারী-ফেব্রুয়ারী মাসে সরকারী বিধান মত বর্তমান ১১ সদস্য বিশিষ্ট বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ গঠিত হয়। ২০/০৩/২০১০ তারিখে উপজেলা শিক্ষা কমিটি কর্তৃক বর্তমান কমিটি অনুমোদন পায়। বর্তমান পরিচালনা পরিষদের সভাপতিসহ সকল সদস্যবৃন্দ অত্যন্ত সক্রিয়। বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নতির জন্য সদস্যবৃন্দ সর্বদা সচেষ্ট থাকেন। লেখাপড়ার মান উন্নয়ন, উপস্থিতি বৃদ্ধি, ঝড়ে পড়া রোধ সহ পাঠক্রমিক সকল কার্যক্রমে সদস্যবৃন্দ সার্বিক সহযোগিতা করে থাকেন। প্রতি মাসে একবার সভায় মিলিত হয়ে বিদ্যালয়ের উন্নতির জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহন করে থাকেন। সভায় উপস্থিতির হার প্রায় ১০০%।
পাশের সন পাশের হার
২০০৭- ৯৭%,
২০০৮- ১০০%,
২০০৯- ৯৭%,
২০১০- ৯৭%,
২০১১- ১০০%।
সন | মোট প্রাপ্ত সংখ্যা | ট্যালেন্টপুল | সাধারন | মন্তব্য |
২০০৬ | ৩ | ২ | ১ |
|
২০০৭ | ১ | ১ | ০ |
|
২০০৮ | ৪ | ৪ | ০ |
|
২০০৯ | ১ | ১ | ০ |
|
২০১০ | ১ | ০ | ০ |
|
শতভাগ ভর্তি, ঝড়েপড়া কমিয়ে আনা এবং শতভাগ পাশ।
শিক্ষক শিক্ষিকা, এসএমসি, পিটিএ, অভিবাবকবৃন্দ ও স্থানীয় ব্যক্তি বর্গের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই বিদ্যালয়কে একটি আদর্শ বিদ্যালয় হিসাবে প্রতিষ্ঠা করা।
০১৭২৭৫৪৬৪২১
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস