বিদ্যালয়টি কালিকাপ্রসাদ রেলষ্টেশন হইতে ১০০ গজ ও বাসস্ট্যান্ড হইতে ৫০ গজ পশ্চিমে কালিকাপ্রসাদ বাসস্ট্যান্ড ও সিদ্ধিরচর বাজার সড়কের উত্তর পার্শ্বে তথাকথিত মুসলমান জমিদার বাড়ীর সামনে। কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের নিকটে খেলার মাঠ সংলগ্ন একই টিনশেড বিল্ডিং, ১টি ১তলা ভবন ও ১টি দ্বিতল ভবন। মোট কক্ষ সংখ্যা ১১টি। কক্ষগুলো সুসজ্জিত ও সুরক্ষিত। বিদ্যালয় চারদিকে কাঠ ও ফলের গাছ দ্বারা বেষ্টিত। বিদ্যালয়টিকে বিদ্যুৎ সংযোগ আছে। প্রতিটি কক্ষে বৈদ্যুতিক পাখা ও বেলুন বাতির ব্যবস্থা আছে। পানীয় জল ও আলো বাতাসের সুন্দর ব্যবস্থা আছে। প্রতি বৎসর বার্ষিক ক্রীড়া ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান জাঁক জমজের সাথে অনুষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়টি ১৯ শতাংশ জমির উপর স্থাপিত। |
কখন, কত সালে এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্টিত হয়েছিল তা সঠিক তথ্য জানা সম্ভন হয়নি। তবে যতদূর সম্ভব জানা যায় জমিদারী প্রথা বিলুপ্তির পূর্বে মুসলমান জমিদার ও স্থানীয় উদ্যোগে নিজস্ব ১৯ শতাংশ জমির উপর একটি টিনের ঘর তৈরি করে দেন। সেখান থেকে বিদ্যালয়টিতে পড়াশুনার যাত্রা শুরু হয়। শেরে-ই-বাংলা এ.একে ফজলুল সাহেব অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষা চালু করার পর হইতে ইহার স্থাপিত কাল ধরা ১৯৩৮ ইং সাল। ১৯৭৩ ইং সালে এই বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ করা হয়। জাতীয় করণের পর অভিজ্ঞ চার জন শিক্ষক ও সুযোগ্য পরিচালক মন্ডলির দ্বারা বিদ্যালয়টি পরিচালিত হয়ে আসছে। ১৯৬৩ সালে চার কক্ষ বিশিষ্ট ৬০ ফুট দৈর্ঘ্য একটি পাক্কা ভবন নির্মাণ করা হয়। যাহা অকেজো হওয়ার কারণে প্রায় ১০ বৎসর পূর্বে ভেঙ্গে সরকারী ভাবে টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়। ১৯৮৮ ইং সালে একটি টিনশেড বিল্ডিং নিমার্ণ করা হয়। ১৯৯৮ ইং সালে ২কক্ষ বিশিষ্ট একটি পাকা বিল্ডিং ও ২০০২ ইং সালে ২ কক্ষ বিশিষ্ট আরেকটি বিল্ডিং এবং ২০০৬ সালে দ্বিতল ভবন পূণঃনিমার্ণ করা হয়। বর্তমানে ৮জন শিক্ষক এবং সুযোগ্য পরিচালক মন্ডলী দ্বারা বিদ্যালয়টি পরিচালিত হয়ে আসছে।
মোট ১২ জন সদস্য নিয়ে ২০০৯ ইং মার্চ মাসে বিদ্যায়লটিতে পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়। জনাবা পারভীন খানম বর্তমান বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সম্মনিত সভাপতি। এই কমিটির মেয়াদ কাল তিন বৎসর। পরিচালনা কমিটির সকল সদস্যগণ শিক্ষিত ও বিদ্যালয় পরিচালনার ব্যপারে দায়িত্ববান।
সাল | মোট ছাত্র-ছাত্রী | সমাপনী অংশগ্রহণ কারী ছাত্র-ছাত্রী | পাশের সংখ্যা | পাশের হার |
২০০৭ | ৬৩ | ৫৭ | ৫১ | ৯৮% |
২০০৮ | ১০৪ | ১০০ | ৮০ | ৮০% |
২০০৯ | ৭৫ | ৬৬ | ৫৩ | ৮০% |
২০১০ | ১১৫ | ১০৩ | ৯০ | ৮৭% |
২০১১ | ১০৫ | ৭৯ | ৭৯ | ১০০% |
শিক্ষার জন্য দরিদ্র ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে উপবৃত্তি চালু আছে। প্রতি বৎসরে দরিদ্র সুবিগাভোগী পরিবারের মাধ্যে প্রায় ৩,০০,০০০/- টাকার উপরে উপবৃত্তি বিতরণ করা হয়।
প্রতি বৎসরই এই বিদ্যালয় হইতে ২-৩ জন ছাত্র-ছাত্রী বৃত্তি প্রাপ্ত হয়ে আসছে। ২০০৭ সালে ৪জন ছাত্র-ছাত্রী ট্যালেন্টপুল এবং ২জন ছাত্র-ছাত্রী সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি প্রাপ্ত হয়। ১৯৮৩ ইং সাল হইতে সংগৃহিত তথ্য অনুযায়ী এই পর্যন্ত মোট ৬জন ট্যালেন্টপুল ও ২৬ জন সাধারণ গ্রেডে সর্ব মোট ৩২ জন বৃত্তিপ্রাপ্ত হয়েছে। এই বিদ্যালয়ে লেখা পড়া করে অনেকেই রাজনৈতিক নেতা, আইনজীবী, ডাক্তার, প্রফেসর হয়েছেন এবং অন্যান্য পেশায় চাকুরীরত আছেন। আশে পাশে অন্যান্য বিদ্যালয়ের তুলনায় এই বিদ্যালয়ে পড়াশুনার মান ভাল বিধায় বিদ্যালয়ের বাইরের এলাকার কিছু ছাত্র-ছাত্রী এসে এই বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করে।
বিদ্যালয়ে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, আবাসিক ব্যবস্থা, চালু ভয় ভীতিহীন সুন্দর ও নিরাপদ, পরিবেশ সৃষ্টি এবং ৮ম শ্রেণীতে উন্নিত করুণ, শিক্ষার মান উন্নয়ন করা, সীমানা প্রাচীর নিমার্ণ, সহ পাঠ ক্রমিক কার্যাবলী জোরধার, একটি পাঠাগার নির্মাণ ও কাব কাযক্রম সক্রিয় করা।
০১৯২১-৬৮৬৪১৮
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস