বিদ্যালয়টি ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯৪ সালে বিদ্যালয়টি রেজিস্ট্রেশন পায়। ১৯৯৯ সালে একটি পাকা বিল্ডিং হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়ের অবস্থা ও ছাত্র/ছাত্রীর লেখাপড়ার অবস্থা মোটামোটি ভাল আছে। ভবিষ্যতে যাতে আরো ভাল হয় সেই আশা করি।
বিদ্যালয়টি ভৈরব পৌরসভা হইতে প্রায় ৫ কি.মি. দূরে আগানগর গ্রামে অবস্থিত। আগানগর গ্রামে প্রায় ৫০০০ ভোটার। শুধু ১টি প্রাইমারী বিদ্যালয় ছিল। আমাদের বিদ্যালয়টি ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৯৪ সালে বেসরকারী ভাবে রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত হয়। ১৯৯০ সাল থেকে নিয়ে অদ্যবধি বিদ্যালয়টি সুষ্ঠ ও সুন্দর ভাবে চলিয়া আসিতেছে। সমাপনী পরীক্ষায় পাশের হার খুবই ভাল। সমাপনী পরীক্ষায় পাশের হার ১০০%।
বর্তমান পরিচালনা কমিটি খুবই ভাল। প্রত্যেক সদস্যরা নিয়মিত ভাবে বিদ্যালয়টির প্রতি নজর রাখেন। ছেলে মেয়েরা সঠিক সময়ে বিদ্যালয়ে আসছে কিনা, শিক্ষক/শিক্ষিকারা নিয়মিত ভাবে বিদ্যালয়ে আসছে কিনা এসব দেখা শুনা করেন। বর্তমান পরিচালনা কমিটির সভাপতি খুবই ভাল। তিনি যে সময় বিদ্যালয়ে আসেন ঠিক সেই সময় প্রত্যেক শ্রেণীতে গিয়ে ছাত্র/ছাত্রীর খোজ খবর নেয় এবং শিক্ষক/ শিক্ষিকাগণ সঠিক সময়ে আসছে কিনা তার খোজ খবর নেয়। সভাপতি সাহেব প্রতি বৎসর ছাত্র/ ছাত্রীদের জন্য পুরষ্কারের ব্যবস্থা করে থাকেন।
পাশের সন পাশের হার
২০০৭ খ্রি: ১০০%,
২০০৮ খ্রি: ১০০%,
২০০৯ খ্রি: ৮৮%,
২০১০ খ্রি: ৯৩%,
২০১১ খ্রি: ১০০%।
শিক্ষা বৃত্তি খুবই একটি গুরুত্ব কাজ। শিক্ষা বৃত্তি দেওয়াতে ছাত্র/ ছাত্রী সবাই বিদ্যালয়ে আসছে। শিক্ষা বৃত্তি সরকারের খুবই একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান। ছাত্র/ ছাত্রী ধরে রাখার জন্য শিক্ষা বৃত্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে দেশের লেখা পড়ার মান বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিদ্যালয় থেকে অনেক শিক্ষার্থী ভিবিন্ন কলেজে অধ্যয়নরত আছেন ।
আমাদের ভবিষ্যত পরিকল্পনা হল ছাত্র/ ছাত্রী শিক্ষা লাভ করে যাতে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে সেই ভাবে তাদেরকে গড়ে তোলা। সেই ভাবে ছাত্র/ ছাত্রী গড়ে তোলতে হলে শিক্ষক/ শিক্ষিকাদের মাসিক বেতন বাড়াতে হবে। দেশকে উন্নয়নের পথে নিয়ে যেতে হলে চাই শিক্ষা। শিক্ষা ছাড়া কোন জাতির মেরুদন্ড ভালো হতে পারে না। মেরুদন্ড ভাল হতে হলে চাই শিক্ষা। আর শিক্ষক ছাড়া কোন জাতির মেরুদন্ড ভাল হতে পারে না। তাই শিক্ষকদের খুব ভাল নজরে দেখতে হবে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকের সংখ্যা বাড়াতে হবে। যাতে করে প্রতিটি ক্লাশে ৪০ জন করে ছাত্র/ ছাত্র থাকে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা যাতে প্রতিটি ছাত্র/ ছাত্রীকে ভাল ভাবে পাঠদান করতে চাই।
মোঃ ছায়েদুর রহমান, প্রধান শিক্ষক, হাজী আঃ গফুর রেজি: প্রাথমিক বিদ্যালয়, আগানগর, ভৈরব, কিশোরগঞ্জ।
০১৭৪২-১৪৫৫৬৩
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস