গ্রাম: মধ্যেরচর, ডাকঘর- শিমুলকান্দি, মৌজা- মধ্যেরচর, উপজেলা- ভৈরব, জেলা- কিশোরগঞ্জ। শিমুলকান্দি মহাবিদ্যালয়টি কোদাল কাটি নদীর তীরে এক মনোরম পরিবেশে উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৭ কি.মি. পূর্বদিকে অবস্থিত। মহাবিদ্যালয়ের জমির পরিমাণ ১ একর ৬১.৪১ শতাংশ । মহাবিদ্যালয়টিতে ৬ কক্ষ বিশিষ্ট একটি ১ তলা পাকা ভবন এবং ০৮ কক্ষ বিশিষ্ট ০২টি টিন শেড ঘর আছে। মহাবিদ্যালয়ের দক্ষিণ পূর্বদিকে মাঠ, পাকা ভবনে বিজ্ঞানাগার, লাইব্রেরী, শিক্ষক কমন রুম, অফিস কক্ষ ও অধ্যক্ষের কক্ষ আছে। অন্য কক্ষ গুলোতে পাঠদান করা হয়।
|
বাংলাদেশের প্রাচীন একটি জনপদ ভৈরব। যা প্রাচীনকাল থেকে নৌবন্দর ও বাণিজ্যনগর হিসেবে পরিচিত। ব্যবসা বাণিজ্যের পাশাপাশি ভৈরবে শিক্ষা বিস্তার ঘটেছে।শিক্ষা বিস্তারকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠৈছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ভৈরব এর উত্তর পূর্বদিকে ভৌগোলিক অবস্থানের ভিত্তিতে ভৈরব এর ঠিক কেন্দ্র বিন্দুতে অবস্থিত এবং ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অকুতভয় বীর মেহনতি মানুষের মুক্তি সংগ্রামের সর্বস্ব ত্যাগী বিপ্লবী কমরেড রেবতী মোহন বর্মনের জন্মস্থান শিমুলকান্দি ইউনিয়ন।যার পাশে রয়েছে পৌরসভাসহ আরও ০৫ টি ইউনিয়ন। এই এলাকাটি ঘন জনবসতি হওয়ায় ১৯৯৭ সালে শিমুলকান্দি ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি যেমন, কান্দিপাড়া গ্রামের জনাব আব্দুস সাইয়ীদ, জনাব ফজলুর রহমান, জনাব আব্দুর রশিদ, জনাব ডাঃ আব্দুল ওহাব, জনাব ডা: সাজিদুর রহমান, জনাব মোঃ আব্দুল হামিদ, শিমুলকান্দি গ্রামের মফিজুল ইসলাম, জনাব মোঃ শফিকুল ইসলাম, জনাব মোঃ আফিকুল ইসলাম, জনাব মোঃ সাইদুর রহমান, জনাব মোঃ ফিরোজুর রহমান, জনাব উসমান মিয়া, জনাব মোঃ তাজুল ইসলাম, মধ্যেরচর গ্রামের জনাব হাজী আব্দুর রাজ্জাক, জনাব গোলাপ মিয়া, জনাব হাজী আব্দুল লতিফ, জনাব মোঃ মোস্তফা মোল্লা, হাজী সিরাজ মিয়া, জনাব মজিবুর রহমান, জনাব হেলাল উদ্দিন চেয়ারম্যান, জনাব মোঃ হেলাল উদ্দিন (অধ্যাপক), জনাব মোঃ মিনু মিয়া, জনাব মোঃফুলু মিয়া, জনাব মোঃ হযরত আলী, জনাব মোঃ মিষ্টু মিয়া, জনাব খলিলুর রহমান, রাজাকাটা গ্রামের জনাব নিজামুদ্দিন হায়দার, জনাব মোঃ আজিজ সরকার, জনাব মোঃ নুরুল ইসলাম, জনাব মোঃ মোস্তফা কামাল, ইমামেরচর গ্রামের জনাব হায়দার আলী, চাঁনপুর গ্রামের জনাব মোঃ আব্দুল লতিফ, শ্রীনগর গ্রামের জনাবমোkZvকআহমেদ বুলবুল, গোছামারা গ্রামের জনাব রফিকুল ইসলাম মোল্লা, বাঁশগাড়ী গ্রামের প্রকৌশলী এন.এস. মোঃ ইউনুস, মৌটুপী গ্রামের জনাব অধ্যাপক মোঃ এলেম আলী (রেকটর) ও ভৈরব এর জনাব ইউসুফ বাবুসহ অগণিত শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিগণের ইচ্ছায় শিমুলকান্দি মহাবিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়।সে মোতাবেক ১৯৯৭ সালের ডিসেম্বরে শিমুলকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে আলোচনা সভায় ১০৩ সদস্য বিশিষ্ট কলেজ বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা হয়।এই কমিটির একাধিক সভা পালাক্রমে অনুষ্ঠিত হয় এবং শিমুলকান্দি মহাবিদ্যালয় নামে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। কলেজ এর স্থান নির্বাচনের জন্য যাচাই বাছাই শেষে মধ্যেরচর গ্রামের কোদালকাটি নদীর তীরে, ভৈরব-শিমুলকান্দি সড়কের পাশে নিরিবিলি পরিবেশে কলেজটি স্থাপন করার সিদ্ধান্ত হয়।পরবর্তীতে জনাব আব্দুস সাইয়ীদ, জনাব আব্দুর রাজ্জাক, জনাব মফিজুল ইসলাম ও নিজামুদ্দিন হায়দারের নেতৃত্বে ৫৩ সদস্যের একটি সাংগঠনিক কমিটি গঠন করা হয়।এলাকাবাসীর দানের ১ একর ০৩ শতক জমি, নগদ টাকা ও বিশিষ্ট শিল্পপতি জনাব ইউসুফ বাবুর বিশেষ অনুদানে একটি বড় টিনের কাচা ঘর নির্মাণ করে কলেজের কার্যক্রম শুরু করা হয়। ১৯৯৯-২০০০ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তির লক্ষ্যে ১৯৯৯ সালে ২৯ মে অধ্যক্ষ, প্রভাষক ও কর্মচারী নিয়োগ করা হয়।অধ্যক্ষ হাসানুল বারীর নেতৃত্বে ঐ বছরেই ঢাকা বোর্ডের অধীনে মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার প্রাথমিক অনুমতি গ্রহণ ও শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়।১৯৯৯ সালের ৫ নভেম্বর তৎকালীন এলজিআরডি ও সমবায় মন্ত্রী, বর্তমান মহামান্য রাষ্ট্রপতি আলহাজ্ব মোঃ জিল্লুর রহমান অত্র কলেজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।তৎকালীন এলজিআরডি ও সমবায় মন্ত্রীর সহযোগীতায় ০৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে একটি ০১ তলা একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হয়।পরবর্তীতে জনাব আব্দুস সাইয়ীদ সাহেবের প্রত্যক্ষ প্রচেষ্টায় এলজিইডি মন্ত্রণালয় হতে পর্যায়ক্রমে ৩ লক্ষ ও ২ লক্ষ টাকার অনুদান পাওয়া যায়। যা পূর্ববর্তী বিল্ডিংএর সাথে আরও ২টি কক্ষ নির্মাণের কাজে ব্যয় হয়।২০০১-২০০২ অর্থ বছরে মহাবিদ্যালয়টি এম.পি.ও ভূক্ত হয়।
|
একাদশ | দ্বাদশ | ||
শিক্ষার্থী | ছাত্রী | শিক্ষার্থী | ছাত্রী |
১৫২ | ৭৯ | ১৩১ | ৫৬ |
পরিচালনা কমিটি | ||||
ক্র: নং | নাম | পদবী | মোবাইল | ঠিকানা |
১ | জনাব কৃষিবিদ মোশতাক আহমেদ বুলবুল | সভাপতি | ০১৭১১-৬২৪৯৬০ | শ্রীনগর, ভৈরব, কিশোরগঞ্জ |
২ | জনাব এম.এ সাইয়ীদ | প্রতিষ্ঠাতা সদস্য | ০১৫৫২-৪০০৩৬২ | শিমুলকান্দি, ভৈরব, কিশোরগঞ্জ। |
৩ | জনাব মোঃ রফিকুল ইসলাম | দাতা সদস্য | ০১৭১১-৬৮১৮০২ | গোছামারা, ভৈরব, কিশোরগঞ্জ। |
৪ | জনাব মোঃ দীন ইসলাম | অভিভাবক সদস্য | ০১৭১৬-৫০৫১৮৯ | শিমুলকান্দি, ভৈরব, কিশোরগঞ্জ। |
৫ | জনাব মোঃ বাহারুল আলম | অভিভাবক সদস্য | ০১৭২৬-২২১৪১০ | শ্রীনগর, ভৈরব, কিশোরগঞ্জ |
৬ | জনাব আব্দুর রশিদ মিয়াজী | অভিভাবক সদস্য | ০১৭১৮-৭৪৯২৮৭ | রসুলপুর, ভৈরব, কিশোরগঞ্জ |
৭ | জনাব মোঃ আমিনুল হক | অভিভাবক সদস্য |
| মধ্যেরচর, ভৈরব, কিশোরগঞ্জ |
৮ | জনাবা খায়রুন্নেছা | সংরক্ষিত মহিলা অভিভাবক সদস্য | ০১৯২৬-৮০৪৭৭৫ | গোছামারা, ভৈরব, কিশোরগঞ্জ। |
৯ | জনাব মোঃ সিরাজ মিয়া | শিক্ষানুরাগী সদস্য | ০১৭১১-৯৫৬৮৮২ | মধ্যেরচর, ভৈরব, কিশোরগঞ্জ |
১০ | জনাব মোহাঃমানিক হোসেন খান | শিক্ষক প্রতিনিধি | ০১৭১৩-৫৭৯৬৬৯ | কালু খালি, পাংশা, রাজবাড়ী। |
১১ | জনাব মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন | শিক্ষক প্রতিনিধি | ০১৭১২-৮৮৪০৮৮ | কয়রাটি, নান্দাইল, ময়মনসিংহ। |
১২ | জনাব বীথিকা দাস | সংরক্ষিত মহিলা শিক্ষক প্রতিনিধি | ০১৯১৩-১৩৫০৯২ | হাজীপুর, নরসিংদী সদর, নরসিংদী। |
১৩ | মোঃ শহিদুজ্জামান (অধ্যক্ষ) | সদস্য সচিব | ০১৭১২-৯৮৯৩৭০ | দেবতলা, শৈলকুপা, ঝিনাইদহ। |
পাশের বছর | মোট পরীক্ষার্থী | উর্ত্তীণ | শতকরা হার | মন্তব্য |
২০০৭ | ৬৭ | ৫৯ | ৮৮.০৫% |
|
২০০৮ | ৭৮ | ৬৬ | ৮৪.৬২% |
|
২০০৯ | ৮৩ | ৫০ | ৬০.২৪% |
|
২০১০ | ১০৫ | ৭৪ | ৭০.৪৭% |
|
২০১১ | ১১৮ | ৯৮ | ৮৩.০৫% |
|
সরকারি উপ-বৃত্তির পাশাপাশি হাজী আব্দুর রাজ্জাক বৃত্তি চালু রয়েছে। এছাড়াও এইচ.এস.সি পরীক্ষায় কৃতি ছাত্র ছাত্রীদের জনাব নিজাম উদ্দিন হায়দার বৃত্তি প্রদান করা হয়। |
শিমুলকান্দি মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ২০০১ খ্রিঃ সর্বপ্রথম এইচ.এস.সি পরীক্ষায়অংশগ্রহণ করে ৭৫% কৃতকার্য হয়। উল্লেখ্য সে বছর ঢাকা বোর্ডের পাশের হার ছিল ২৯%। তৎকালীন প্রভাষক জনাব এ.বি.এম. শামী, জনাব মানিক হোসেন খান, জনাব বীথিকা দাস, জনাব তাজরুন নাহার, জনাব কামাল উদ্দিন, জনাব কাজী আবু জাফর হোসেন, জনাব সিরাজুল ইসলাম। এদের অক্লান্ত পরিশ্রমে এই অর্জন সম্ভব হয়েছে। পরবর্তী বছর গুলোতেও শিক্ষার্থীরা ঈর্ষণীয় ফলাফল করে আসছে। প্রায় প্রতি বছর এ+, এ, এ- সহ অগণিত শিক্ষার্থী এ প্রতিষ্ঠান থেকে পাশ করে উচ্চ শিক্ষার জন্য বের হচ্ছে। মেডিক্যাল কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে। ২০১১ খ্রিঃ এইচ.এস.সি পরীক্ষার পাশের হার ৮৩.০৫%। ২০০৪ খ্রিঃ সালে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উদযাপন কমিটি কর্তৃক শিমুলকান্দি মহাবিদ্যালয়টি ভৈরবের শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে নির্বাচিত হয়। পরবর্তীতে ২০০৪ সালের ২৪ শে জুন জনাব মোঃ শহিদুজ্জামান অধ্যক্ষ হিসাবে নিয়োগ পেয়ে মহাবিদ্যালয়ের সাফল্যের ধারা ত্বরাণ্বিত করেন এবং ঐ বছরেই বিজ্ঞান শাখা খুলে মহাবিদ্যালয়টিকে পূর্ণাঙ্গরূপ দান করেন। পরবর্তীতে কম্পিউটার শিক্ষা ও ইসলামের ইতিহাস বিষয় দুটো খুলে মহাবিদ্যালয়টির শিক্ষাদানের প্রসারতা বাড়ানো হয়। |
বর্তমানে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে মহাবিদ্যালয়টিতে বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগ চালু আছে। আগামীতে সকল বিভাগে স্নাতক শ্রেণি খোলা হবে। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে সম্মান ও স্নাতকোত্তর শ্রেণি চালু করা হবে। যাতে এ অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার জন্য বাহিরে যেতে না হয়। |
ডাকঘর- শিমুলকান্দি, উপজেলা- ভৈরব, জেলা- কিশোরগঞ্জ। ০১৭১২-৯৮৯৩৭০, ০১১৯১৮৭০৪৯২ |
পাশের বছর | মোট পরীক্ষার্থী | উর্ত্তীণ | শতকরা হার | মন্তব্য |
২০০৭ | ৬৭ | ৫৯ | ৮৮.০৫% |
|
২০০৮ | ৭৮ | ৬৬ | ৮৪.৬২% |
|
২০০৯ | ৮৩ | ৫০ | ৬০.২৪% |
|
২০১০ | ১০৫ | ৭৪ | ৭০.৪৭% |
|
২০১১ | ১১৮ | ৯৮ | ৮৩.০৫% |
|
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস