সৈদয় নজরুল ইসলাম সেতু : কালের বিবর্তনে সড়কপথের উন্নয়ন ঘটলেও এখনও নদীপথ ও রেলপথ যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে স্বীকৃত ও জনপ্রিয়। ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এখনো নদীপথ অন্যতম। সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা ও কিশোরগঞ্জের হাওড় অঞ্চল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানে লঞ্চ, মালবাহী কার্গো এবং বার্জ নিয়মিত চলাচল করছে। সড়কপথে মেঘনা নদী পারাপারের জন্য ফেরী চালু ছিল দীর্ঘদিন। ফেরী পার হতে অনেক সময় লেগে যেতো। সড়কপথে যোগাযোগের উন্নয়নে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে মেঘনা নদীর উপর ৬৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে (১৯৯৯-২০০২ সাল) নির্মিত হয় সৈদয় নজরুল ইসলাম সেতু।
‘রাজা ৬ষ্ট জর্জ সেতু’(ভৈরব রেল সেতু) : ১৯৩৫-১৯৩৭ খ্রিষ্টাব্দে মেঘনা নদীর উপর King George the Sixth Bridge বা ‘রাজা ৬ষ্ট জর্জ সেতু’(ভৈরব রেল সেতু) নির্মিত হয়। সেতুটির নির্মাণ ব্যয় হয় ভারতীয় মুদ্রায় ৬৪ লক্ষ টাকা। এ বছরই ডিসেম্বর, ১৯৩৭ সেতুটির উপর দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু করে। রেল যোগাযোগের গুরুত্ব বিবেচনায় সহাপিত হয় ভৈরব রেলওয়ে জংশন। ঢাকা, চট্রগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ ও কিশোরগঞ্জ নিয়মিত ট্রেন চালু রয়েছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস